ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুটি নতুন পাখি বাংলাদেশের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • ১৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রকৃতিতে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যেও নতুন কিছু পাখির খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ১ হাজার ২শ’টির মতো প্রজাতির পাখি আছে। বিশ্বে পাখির প্রজাতির সংখ্যা ৯ থেকে ১০ হাজার।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৭০০ প্রজাতির পাখি ধরা পড়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগে দেখলেও এখন আর দেখা যায় না।

বাংলাদেশে নতুন দুটি পাখি পাওয়া গেছে। এর একটি হচ্ছে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি। এর ইংরেজি নাম Brown-capped pygmy Woodpecker।

একে ইন্ডিয়ান পিইম উডপেকারও বলা হয়। পাখিটির স্বাতন্ত্র্যসূচক গোলাপি রাঙা চোখ। চোখের তারাটা সাদা। শরীরের রং ডোরাকাটা হলুদ ও সাদা। সাদা স্পট রয়েছে লেজে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব এর নাম দিয়েছে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি। আলোকচিত্রী হাসনাত রনীর ক্যামেরায় পাখিটি প্রথম ধরা পড়েছে। রাজশাহী থেকে তিনি পাখিটির ছবি তুলেছেন।

পাখি বিষেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, আমাদের দেশে মেটেটুপি বাটকুড়ালি আছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের কোথাও কোথাও এই পাখি দেখা যায়। তবে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি এর আগে বাংলাদেশে কেউ দেখেনি। এটি একটি নতুন বাটকুড়ালি প্রজাতির পাখি। এর মাথার উপরে ও পেছনে খয়রি রং রয়েছে। পাখিটির দৈর্ঘ্য ১৪ সেন্টিমিটার। শ্রীলংকা, নেপাল ও ভারতে এই পাখি প্রচুর দেখা যায়।

অন্য পাখিটির নাম খয়রাগাল শালিক। এটিও নতুন পাখি। গত ৪ মার্চ আলী কাউসার ডেনি নামে একজন পাখিটিকে খুজে পান। তার ক্যামেরায় পাখিটির ছবি তোলেন। নতুন আবিস্কার হওয়া পাখিটি দেশের ৭০০তম পাখি। এর আগে জানুয়ারি মাসে চাপাই নবাবগঞ্জে White tailed lapwing নামে নতুন আরেকটি পাখি ধরা পড়ে। সে পাখিটির ছবি তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার শাহানুর করীম। সেটি ছিল ৬৯৯তম পাখি। শালিক মূলত জাপানের আবাসিক পাখি।

হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব বলেন, খয়রাগাল শালিক Sturnidae পরিবারের সদস্য। বৈজ্ঞানিক নাম Agropsar philippinensis। জাপান, তাইওয়ান, রাশিয়ায় এদের দেখা যায়। এই পাখির গড় ওজন ৩৮ গ্রাম। গড় দৈর্ঘ্য ১৯২ মিলিমিটার।

স্ত্রী পাখির ওজন একটু কম হয়। স্ত্রী পাখির রং বাদামি হয়। পুরুষ পাখির মাথা সাদা ও এবং গালে গাঢ় খায়রি বাদামি ছোপ আছে। দেহের দু পাশে ধুসর বর্ণ। লেজ হালকা বাদামি। গাছের গর্তে এরা বসবাস করে। লতা, পাতা ঘাষ দিয়ে বাসা তৈরি করে। গাছের ফল ও পোকা মাকড় এদের খাবার। প্রজনন মৌসুম মে জুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দুটি নতুন পাখি বাংলাদেশের

আপডেট টাইম : ০৯:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রকৃতিতে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যেও নতুন কিছু পাখির খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ১ হাজার ২শ’টির মতো প্রজাতির পাখি আছে। বিশ্বে পাখির প্রজাতির সংখ্যা ৯ থেকে ১০ হাজার।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৭০০ প্রজাতির পাখি ধরা পড়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগে দেখলেও এখন আর দেখা যায় না।

বাংলাদেশে নতুন দুটি পাখি পাওয়া গেছে। এর একটি হচ্ছে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি। এর ইংরেজি নাম Brown-capped pygmy Woodpecker।

একে ইন্ডিয়ান পিইম উডপেকারও বলা হয়। পাখিটির স্বাতন্ত্র্যসূচক গোলাপি রাঙা চোখ। চোখের তারাটা সাদা। শরীরের রং ডোরাকাটা হলুদ ও সাদা। সাদা স্পট রয়েছে লেজে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব এর নাম দিয়েছে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি। আলোকচিত্রী হাসনাত রনীর ক্যামেরায় পাখিটি প্রথম ধরা পড়েছে। রাজশাহী থেকে তিনি পাখিটির ছবি তুলেছেন।

পাখি বিষেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, আমাদের দেশে মেটেটুপি বাটকুড়ালি আছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের কোথাও কোথাও এই পাখি দেখা যায়। তবে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি এর আগে বাংলাদেশে কেউ দেখেনি। এটি একটি নতুন বাটকুড়ালি প্রজাতির পাখি। এর মাথার উপরে ও পেছনে খয়রি রং রয়েছে। পাখিটির দৈর্ঘ্য ১৪ সেন্টিমিটার। শ্রীলংকা, নেপাল ও ভারতে এই পাখি প্রচুর দেখা যায়।

অন্য পাখিটির নাম খয়রাগাল শালিক। এটিও নতুন পাখি। গত ৪ মার্চ আলী কাউসার ডেনি নামে একজন পাখিটিকে খুজে পান। তার ক্যামেরায় পাখিটির ছবি তোলেন। নতুন আবিস্কার হওয়া পাখিটি দেশের ৭০০তম পাখি। এর আগে জানুয়ারি মাসে চাপাই নবাবগঞ্জে White tailed lapwing নামে নতুন আরেকটি পাখি ধরা পড়ে। সে পাখিটির ছবি তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার শাহানুর করীম। সেটি ছিল ৬৯৯তম পাখি। শালিক মূলত জাপানের আবাসিক পাখি।

হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব বলেন, খয়রাগাল শালিক Sturnidae পরিবারের সদস্য। বৈজ্ঞানিক নাম Agropsar philippinensis। জাপান, তাইওয়ান, রাশিয়ায় এদের দেখা যায়। এই পাখির গড় ওজন ৩৮ গ্রাম। গড় দৈর্ঘ্য ১৯২ মিলিমিটার।

স্ত্রী পাখির ওজন একটু কম হয়। স্ত্রী পাখির রং বাদামি হয়। পুরুষ পাখির মাথা সাদা ও এবং গালে গাঢ় খায়রি বাদামি ছোপ আছে। দেহের দু পাশে ধুসর বর্ণ। লেজ হালকা বাদামি। গাছের গর্তে এরা বসবাস করে। লতা, পাতা ঘাষ দিয়ে বাসা তৈরি করে। গাছের ফল ও পোকা মাকড় এদের খাবার। প্রজনন মৌসুম মে জুন।